আর এস ফাহিম চৌধুরী দেশে স্টান্ট রাইডার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তার প্রকৃত নাম কামরুল হাসান চৌধুরী। স্টান্টবাজির পাশাপাশি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। তরুণদের মাঝে রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তবে সেই জনপ্রিয়তার মাঝেই তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে গত ৫ আগস্টের পর থেকে।
মূলত সমালোচনার জন্ম হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নিজস্ব ভূমিকা নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পেজ এবং ইউটিউবে অনেকেই তার নামে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাদের দাবি আর এস ফাহিম একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কের কারণে কিছুটা আড়ালে চলে যান ফাহিম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি সক্রিয় ছিলেন। এই সময়ে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়ায়। এবার সবকিছু ছাপিয়ে তার দেশ ছাড়ার খবর নিশ্চিত হলো।
ফাহিমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চোখ পড়তেই তার দেশ ত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) তিনি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, জীবনে চলার পথে কেউ কষ্ট দেবে, কেউ বেইমানি করবে, কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করবে, ভালোবাসার নামে অভিনয় করবে, বন্ধুত্বের নামে ব্যবহার করবে, হ্যাঁ এটাই নিয়ম, যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন, তত ভালো থাকতে পারবেন।
ছবির পাশাপাশি দেশ ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে তার স্টোরিগুলোতে। ২৭টি স্টোরিতে দেখা যায়, প্রথমে সন্তানকে আদর করছেন ফাহিম। এরপর স্ত্রী মানজিয়া ও সন্তানসহ গাড়িতে তোলা একটি ছবিতে তিনি লেখেন, আমি আপনাদের মিস করব।
এরপর একটি ভিডিওতে বিমানবন্দরে পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে বিদায় নিতে দেখা যায় তাকে। সেখানে ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, যথাসম্ভব সবার সঙ্গে এটাই আমার শেষ দেখা। পরে বিমানে ওঠার এবং মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর মুহূর্তগুলোও স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি। নতুন দেশে নিজের গাড়ি চালানো ও নতুন বাসায় রাতের শুভেচ্ছা জানানোর ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে নতুন জীবনের সূচনার আভাস দেন ফাহিম।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ফারিম তার ফেসবুকেন আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে ক্যাপশনে লেখেন, চলে এলাম মালেয়শিয়া।
পাশাপাশি আরও বেশ কিছু স্টোরি পোস্ট করেন যেখানে তাকে মালেয়শিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে ঘুরতে দেখা যায়।
ফাহিমের হঠাৎ দেশ ছাড়া নিয়ে অনুরাগী ও নেটিজেনদের মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই তার ভবিষ্যত জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি মালয়েশিয়া থেকেই কি নতুন কোনো কনটেন্ট তৈরি করবেন, নাকি সম্পূর্ণ নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হবেন এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল।
আপনার মতামত লিখুন :