আমরা যেদিন মহাখালীর এসকেএস’য়ে ‘খিল হিম’ দেখলাম সেদিন সন্ধ্যায় প্রতিটি আসনে দর্শক ছিল। দর্শক কারণে, অকারণে হেসেছে এবং উপভোগ করেছে! অনন্ত জলিলকে আমার পিউর এন্টারটেইনার মনে হয়!
চলচ্চিত্রের নির্মাণ বেশ ভাল, এই ফিল্মে বর্ষা অভিনয় জানেন না, এই কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে! তিনি বেশ উৎরে গেছেন। তাঁর ডাবিং সম্ভবত অন্য কেউ করেছেন এন্ড দ্যাট ওয়াজ আউটস্ট্যান্ডিং একটি উচ্চারণ ছাড়া! নায়িকা হিসেবে তাঁর যে এন্ট্রি, এরকমটা আমরা বলিউডের ফিল্মে দেখি এন্ড শি ওয়াজ ম্যাগনিফিসেন্ট!
অনন্ত জলিলেরও অনেক ইমপ্রুভমেন্ট! কয়েকটা উচ্চারণ ছাড়া এক্সপ্রেশনস দুর্দান্ত ছিল, এ্যাকশন ওয়াজ নট ব্যাড! নাচে মনোযোগী হওয়া দরকার। প্রথম গানে অনন্ত জলিলের দুইটা ফলস লুক ভাল লাগেনি! মিশা সওদাগর বরাবরের মতো ভাল, নতুন অভিনেত্রী ঠিকঠাক! রুবেলের এ্যাকশন দৃশ্য নজর কাড়েনি, তাঁর চরিত্র আরও কিছু ব্যপ্তি পেলে ভাল হতো!
সব মিলিয়ে এ ধরণের নির্মাণ আমরা ভারতের সাউথের ফিল্মে দেখে অভ্যস্ত! তা সত্ত্বেও কাহিনী বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটি আমার ভালই লেগেছে!
অনন্ত, বর্ষা যেহেতু অভিনয় করবেনই তাই তাদের উচিত অন্য পরিচালকের চলচ্চিত্রে বেশি বেশি অভিনয় করা! তাঁদের উন্নতি ভীষণ চোখে পড়ার মত ছিল।
এই ঈদে একটি চলচ্চিত্রই দেখেছি, সময় পাইনি বিধায় আর দেখার সুযোগ হয়নি!
(কিছু লিখতে ইচ্ছে হয়নি যদিও, যারা ইনবক্সে পাগল বানিয়েছেন তাঁদের জন্য এই রিভিউ)
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।
আপনার মতামত লিখুন :