দেশের মানুষ কি সব পাগল হয়ে যাচ্ছে! সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে যেন তেন উপায়ে ভাইরাল হতে চাচ্ছে। এদের মূল পুঁজি হচ্ছে নির্লজ্জতা। যৌনতার সুড়সুড়ি দিয়ে ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে বুড়ো ভামও পিছিয়ে নেই। কচি মেয়েকে কোলের উপর বসিয়ে গভীর রাতে লাইভের একটাই উদ্দেশ্য ভাইরাল হওয়া। এরা কি কমেন্ট পড়ে না, নাকি ভাবে যেভাবেই হোক ভিউ বাড়ুক।
ওই অসভ্য বেয়াদব কন্যা কিছুতেই কথা বলা থামাবে না। বারবার বলে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। শরিয়া কি বলেছে নির্লজ্জভাবে বুড়া স্বামীর কোলে বসে রং ঢং করে মানুষকে দেখা। গভীর রাতে সাজগোজ করে আতঙ্কিত হওয়ার গল্প শুনালে কেউ বিশ্বাস করবে না, ভাববে নতুন নাটক।
বিয়ে করছস ভালো কথা, দরজার আড়ালে যা করার কর। মানুষের সামনে অসভ্যতা করলে গালমন্দ করা স্বাভাবিক। সময় করে কমেন্ট পড়, মানুষ কি ভাবছে বুঝতে পাবি।
এরা হিরো আলম, সেফুদা, জায়েদ খান সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে।
দুইদিন পরেই হয়ত দেখতে পাবো আমার স্নেহের প্রিয় ছোট ভাই হারুনের অফিসেও গেছে। কারণ ওই অফিসে সমস্ত সেলিব্রেটিরাই যায় নাম কামানোর উদ্দেশ্যে। আজকের বয়ান শুনে সেদিকেই যাওয়ার সুর মনে হল। আল্টিমেট ওখানে যেয়ে একখানা ছবি পোস্ট করে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বললে হিরো হওয়া যায় না।
ভাবখানা এমন, না জানি কি মহৎ কাজ করে ফেলেছে। যেন এমন ধনী স্বামী কিংবা কচি স্ত্রী আর কারো নেই। এমন উদাহরণ এক দুইটা নয়, হাজার হাজার আছে। মতের মিল না হলে একাধিক বিয়েতেও অন্যায় দেখি না। আমরা তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করি, কারণ তারা এমন লোক দেখানো বেলাল্লাপনা করে না। নিজেরা নিজেরা ভালো থেকে সুখী হওয়ার চেষ্টা করে। সুখী হতে চাওয়া দোষের কিছু নয়। জীবনের কোন এক পর্যায়ে বয়স্ক লোককে বা অল্প বয়সী কন্যাকে বিয়ে করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই বিয়েকে এতো হাইলাইট Glorify করা দৃষ্টিকটু।
চুপচাপ থাকলে কেউ কিছু বলত না কিন্তু যখন পাবলিক করে দিবেন মানুষরা কথা বলবে সমালোচনা করবে। এরা ভাইরাল হতে যেয়ে মানুষের মগজে ভাইরাস ছড়াচ্ছে, যা ভয়ংকর।
মানুষ চিড়িয়া দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় যেত, এখন যায় বইমেলায়।
(লেখাটি ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
আপনার মতামত লিখুন :