ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জার্মানিতে গাড়ি হামলায় নিহত ২, সৌদি নাগরিক গ্রেফতার

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ১০:১০ এএম জার্মানিতে গাড়ি হামলায় নিহত ২, সৌদি নাগরিক গ্রেফতার

জার্মানির মাগডেবার্গ শহরের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় দুইজন নিহত এবং অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজন সৌদি নাগরিককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) একটি কালো রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি বাজারের ভিড়ের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত দ্রুতগতিতে চলে যায়। সেখানে ক্রিসমাস উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ির ধাক্কায় রক্তাক্ত হয়ে যায় ঘটনাস্থল।

 

প্রায় ১০০ পুলিশ, মেডিকেল কর্মী এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনায় অংশ নেন।

 

মাগডেবার্গ শহরের প্রশাসন জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ৩৭ জন গুরুতরভাবে আহত এবং ১৬ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

 

স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতার ব্যক্তি একজন ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসক। তিনি ২০০৬ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাস করছেন।

 

স্যাক্সনি-আনহাল্ট প্রদেশের প্রিমিয়ার রেইনার হ্যাসেলফ জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখনই কোনো সুনির্দিষ্ট চক্রান্তের অভিযোগ নেই। তবে এটি শহরের জন্য একটি বড় বিপর্যয়।

 

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এক্সে লিখেছেন, মাগডেবার্গ থেকে আসা এই খবরে আমরা সবাই স্তম্ভিত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

 

শুক্রবারের এই ঘটনা ২০১৬ সালের বার্লিন ক্রিসমাস মার্কেট হামলার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেসময় এক আইএস সদস্য লরি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করেছিল।

 

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিসমাস মার্কেটগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি নিশ্চিত করেছিলেন যে কোনো নির্দিষ্ট হুমকির তথ্য তাদের কাছে নেই।

 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের সহিংসতা গণতান্ত্রিক সমাজে কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।

 

হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

সূত্র: এএফপি

Side banner