একদিকে কাতারের দোহায় চলছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় নিজেদের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সবশেষ শুক্রবারও দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রাণ ঝরেছে আরও ৭৩ ফিলিস্তিনির। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছরে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা থেকে রেহাই মিলছে না গাজার বাসিন্দাদের। মুখে হামাস নিধনের কথা বললেও নেতানিয়াহু বাহিনী হামলা চালাচ্ছে অঞ্চলটির শরনার্থী শিবির ও কোনোমতে সচল থাকা হাসপাতালগুলোতে। এতে হতাহত হচ্ছেন উপত্যকাটির বাস্তুচ্যুত নিরীহ বাসিন্দারা।
সবশেষ শুক্রবার গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবির ও জাওয়াইদাসহ অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর অবশ্য দাবি, হামাসের ৪০টি অবস্থানকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালিয়েছে তারা। বাসিন্দাদের ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়াকে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আটক গাজার স্বাস্থ্যসেবা খাতকে ‘ধ্বংস’ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিজুড়ে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন বৃহস্পতিবার নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ জন ফিলিস্তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :