কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় ছয় জানুয়ারি দেশটির রাজধানী অটোয়ায় নিজ বাসভবনের বাইরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, আমি আমার দল ও গভর্নরকে জানিয়েছি যে, আমি লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার উত্তরসূরি নির্বাচিত হলে আমি দায়িত্ব হস্তান্তর করবো।তবে এই প্রক্রিয়া কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হতে পারে, আবার কয়েক মাসও লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নতুন নেতা খুঁজে পেতে এবং কানাডার আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমি পার্লামেন্টের অধিবেশন আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছি।কানাডার আইন অনুসারে, এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল তার নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পায়।
ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাদের চাপের মুখে ছিলেন। সাম্প্রতিক জরিপে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় লিবারেল পার্টির ভেতরে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। এ বছর অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং তার আগে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে হবে।
২০১৫ সালের নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের মতো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। তারপর আরও দুটি নির্বাচনে জয়ের সুবাদে টানা প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ৫৩ বছর বয়সী এই নেতা।
কানাডা একটানা সবচেয়ে বেশিদিন প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার রেকর্ডটি ট্রুডোর দখলে। জনপ্রিয়তার দিক থেকেও তিনি তার পূর্বসূরীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিলেন। বস্তুত, ট্রুডো যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার পূর্বসূরী কোনো নেতা এর ধারেকাছে যেতে পারেননি।
আপনার মতামত লিখুন :