দুইবার বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত শেরপুরের শ্রীবরদীর বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী মা্রা গেছেন।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম হিরো জানিয়েছেন।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খামারিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৭৯ বছর বয়সী জহুরুল দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা জহুরুল হক মুন্সীই একমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি দুইবার ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পেয়েছেন।
পারিবারের বরাতে নুরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকে বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম শিক্ষা কমপ্লেক্সে জহুরুলের প্রথম নামাজে জানাজা হয়েছে।
বেলা আড়াইটার দিকে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরাস্থানে জহুরুলকে দাফন করা হবে।
নুরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর জামালপুর ক্যাম্পে দেড় হাজার পাকিস্তানি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের আহব্বান সংবলিত চিঠি পৌঁছাতে গিয়ে তাদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন জহুরুল হক মুন্সী।
“মুক্তিযুদ্ধে অসম্মান্য অবদান রাখায় দেশের একমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে জহুরুল হককে রাষ্ট্রীয় ভাবে দুই বার বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।”
জহুরুলের জন্ম জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামে। পরে তিনি স্থায়ীভাবে শ্রীবরদীতে বসবাস করেন।
মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :