মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেতে নতুন করে আবেদন করার শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তির নতুনভাবে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখলেও তিনি যদি নির্ধারিত ফর্মে সময় মতো আবেদন না করেন, তাহলে তার নতুনভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে, ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।
আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে ৯৫ হাজার ২৪৫টি। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’র নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়। উক্ত আদেশের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘সম্মানি ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd)) রক্ষিত ৩৩ (তেত্রিশ) ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যেকোনো একটি প্রমাণকে নাম থাকলে; ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানি ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ‘ফরম’ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন দাখিল করলে; আদেশের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আবেদন যাচাই বাছাই কমিটির সাত নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘আবেদন যাচাই বাছাই পদ্ধতি’ অনুসরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠান হলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানি ভাতা পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :