বলিউড তারকাদের আকর্ষণীয় ফিগার ও ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে মুগ্ধ হন কমবেশি সবাই। তবে তারা স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল বলেই এতোটা ফিট থাকতে পারেন। এজন্য তারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন ও পুষ্টিকর খাবার খান। এমনকি তাদের জীবনযাত্রার মানও অন্যদের চেয়ে আলাদা বলেই তাদের ত্বক ঝলমলে থাকে ও তারা এতোটা ফিট থাকেন।
তাদের মতো ফিট হতে চাইলে আপনিও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন। এ বিষয়ে বলিউড তারকাদের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিয়েকর ৩ পরামর্শ দিয়েছেন। বলিউডের অনেক অভিনেত্রী রুজুতার কথা মেনে ডায়েট করেন। করিনা কাপূরের ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সেই পুষ্টিবিদই এবার জানালেন ওজন কমানোর ৩ উপায় সম্পর্কে-
অনেকেই এক মাসে ১০ কেজি কিংবা দু’মাসে ২০ কেজি ওজন কমানোর লক্ষ্য নিয়ে ফেলেন। সে অনুসারেই কঠোর ডায়েট ও শারীরিক কসরত করেন। তবে রুজুতার পরামর্শ হলো, ধীরে ধীরে ওজন কমানোই সবচেয়ে ভালো শরীরের জন্য।
যে কোনো ভিডিও দেখে বা কাউকে দেখে একই ডায়েট অনুসরণ করা কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করে ওজন কমাতে যাবেন না। এতে হীতে বিপরীত হতে পারে। দ্রুত ওজন কমানোর লক্ষ্য নেওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এক বছরে সামগ্রিক ওজনের ৫-১০ শতাংশ কমাতে পারেন।
দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা করেন। হাঁটাহাটি, ওয়েট লিফটিং, পুশআপসহ নানা ধরনের ভারি ব্যায়াম করেন জিমে গিয়ে। তবে পুষ্টিবিদের মতে, শরীরচর্চা শুরু করতে গেলে একটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া দরকার।
কারণ অতিরিক্ত শরীরচর্চায় হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং প্রথম শরীরচর্চা শুরু করলে নিয়মিত না করে মাসে ৭ দিন করা দরকার। তারপর ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে ওয়ার্কআউটের সময় বাড়ানো যেতে পারে। রুজুতার মতে, প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্রাম পেলে ত্বকের জেল্লাও বজায় থাকবে।
ওজন কমাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সেই খাবারে ভারসাম্য থাকা জরুরি। অনেকেই মেদ ঝরাতে খাবার থেকে কার্বোহাইড্রেট, চিনি একেবারে বাদ দিয়ে দেন। কার্বোহাইড্রেটেরও শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। রুজুতার মতে, ঘরোয়া খাবার খেয়ে বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত খাবার বাদ দেওয়া দরকার। এভাবে চেষ্টা করলে ওজন কমতে সময় লাগলেও, ত্বকের উজ্জ্বলতাও হারাবে না।
সূত্র: এনডিটিভি ফুড
আপনার মতামত লিখুন :