সিরিয়ায় চলমান সংকটে ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ এ সংকটপূর্ণ সময়ে সিরিয়ার জনগণ এবং তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায়। একইসঙ্গে সেদেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়। বাংলাদেশ সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব অংশীজনকে সংযম দেখানো, সিরিয়ানদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানানো এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সিরিয়ায় আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে এই সংকটপূর্ণ উত্তরণের মুহূর্তে ইসরায়েলের অবৈধ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়।
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, অগ্রগতিগুলো সিরিয়ার জনগণের জন্য অন্তর্ভুক্তি, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার নীতিতে তাদের জাতি পুনর্গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে জাতিসংঘকে বেসামরিক লোকেদের জীবন রক্ষা, মানবিক নীতি সমুন্নত রাখা এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ২২৫৪ -এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশটির জাতি গঠনের জন্য সব পক্ষকে প্রচেষ্টায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র এবং টেকসই শান্তির পথ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ওই অঞ্চলে জোর সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে গোলান বাফার জোন সাময়িকভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি সিরিয়াজুড়ে বিমান হামলাও চালিয়েছে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :