বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখানোর পর সবগুলো ট্রফিই জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। লিগের সর্বাধিক ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে তারা পাত্তাই দেয়নি। ৫ লিগে মুখোমুখি হয়েছিল ১০ বার। আবাহনী কখনো জিততে পারেনি ঘরোয়া ফুটবলের নতুন পরাশক্তিদের বিরুদ্ধে। দুটি ড্র করে হেরেছে ৮ ম্যাচ।
এগারতম মোকাবিলায় সেই শুভক্ষণ এলো আবাহনীর। শুক্রবার ঘরের মাঠ কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কিংসকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বিদেশিহীন দল আবাহনী। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সুমন রেজার গোলে পাওয়া লিড বাকি ৮৮ মিনিট ধরে রেখে স্মরণীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মারুফুল হকের দল। বাম দিক থেকে শাহরিয়ার ইমনের হাওয়ায় ভাসানো বলে দুর্দান্ত হেডে সাবেক ক্লাবের জালে বল পাঠান সুমন রেজা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৪ ম্যাচে ২টিতেই হারলো টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কিংস। এই কুমিল্লায় দ্বিতীয় রাউন্ডে কিংস হেরেছিল ১০ জনের মোহামেডানের কাছে। মাঝে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জিতেছিল চ্যাম্পিয়নরা। ঠিকঠাক মতো কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর আগেই আরেকটি বড় ধাক্কা খেলো ভ্যালেরির তিতার দল। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হারিয়ে চার নম্বরে নেমে গেলো গতবারের ট্রেবল জয়ী দলটি।
আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হেরেছিল আবাহনী। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এ ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রিমিয়ার লিগের সর্বাধিক ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের। বিদেশি না থাকায় এ ম্যাচে আবাহনীকে ফেবারিট ধরেননি কেউ। অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হক সব সমীকরণ বদলে দিয়ে হারিয়ে দিয়েছেন শক্তিশালী কিংসকে।
জিততে না পারুক; ড্রয়ের সূবর্ণ সুযোগ এসেছিল কিংসের সামনে। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েলের শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া মিলিয়ে এই মৌসুমে বসুন্ধরা কিংস এ নিয়ে ১০ ম্যাচ খেললো। ৬টিই হারলো। বসুন্ধরা কিংসের এই সমীকরণ দলটির সমর্থকদের জন্য চরম হতাশার।
ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে কিংস ৩ ম্যাচ হেরেছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। দেশের নতুন টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছিল দলটি। ফেডারেশন কাপে দুই ম্যাচ খেলে হেরেছে একটি ফর্টিসের কাছে। প্রিমিয়ার লিগে হারলো দুই ম্যাচ।
আপনার মতামত লিখুন :