অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা হচ্ছে। এতে নেটওয়ার্ক কোম্পানির ওপর বিরক্তি আসে। তবে জানেন কি, অনেক সময় সমস্যা হতে পারে আপনার ফোনের কারণেই? কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে ইন্টারনেট সংযোগ ও স্পিড অনেকটাই উন্নত করা সম্ভব।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো যায়-
গুগল প্লে স্টোরে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বুস্টার অ্যাপ পাওয়া যায়, যেগুলো আপনার ডিভাইসের নেটওয়ার্ক সংযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে। এসব অ্যাপ ইনস্টল করে দেখুন ইন্টারনেট স্পিডে পরিবর্তন আসে কিনা। তবে খেয়াল রাখুন, সব অ্যাপই কার্যকর নয়; শুধুমাত্র ভাল রেটিং ও রিভিউ থাকা অ্যাপ ব্যবহার করুন।
ফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকলে সেগুলো রিমুভ করুন। এই ধরনের অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে মেমোরি ও ডেটা খরচ করে, যা আপনার ইন্টারনেট স্পিড ধীর করে দেয়।
মেমোরি বেশি হলে ফোনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই ফোনের স্টোরেজে যেসব ফাইল বা মিডিয়া অপ্রয়োজনীয়, সেগুলো ডিলিট করুন। মেমোরি ফাঁকা হলে ফোনের কাজের গতি এবং ইন্টারনেট স্পিড বাড়ে।
আপনি যে ব্রাউজার ব্যবহার করছেন, সেটির হিস্ট্রি, ক্যাশ ও কুকিজ নিয়মিত মুছে ফেলুন। এতে ব্রাউজারের লোডিং টাইম কমে এবং পেজ লোডিং স্পিড বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্রাউজার প্লাগিন বা অ্যাড-অন যেগুলো আপনার প্রয়োজন নেই, সেগুলোও রিমুভ করতে পারেন।
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং বিভিন্ন অ্যাপ আপডেট দেওয়ার পর ডিভাইসের নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সংযোগ ভালো কাজ করে। তাই নিয়মিত ফোনের সিস্টেম আপডেট চেক করুন এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় আপডেট ইনস্টল করুন।
অনেক সময় অজান্তেই বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করে, যা ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে দেয়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করছে এমন অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের "ডেটা ইউসেজ" অপশনে গিয়ে যেসব অ্যাপ অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, সেগুলোকে রেস্ট্রিক্ট করুন।
কখনো কখনো ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে সমস্যা হতে পারে। Settings > Network & Internet > Advanced > Reset Wi-Fi, mobile & Bluetooth অপশনে গিয়ে নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করে নিন। এটি প্রায়শই নেটওয়ার্কের ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করতে কার্যকর।
আপনার ফোনে যদি ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্কের সুবিধা থাকে, তাহলে সেটিংসে গিয়ে ৪জি/৫জি মোড নির্বাচন করুন। এর ফলে তুলনামূলকভাবে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হবে।
ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় অনেক অ্যাড পপ-আপ হয়, যা লোডিং স্পিড কমিয়ে দেয়। ফোনে অ্যাডব্লকার ইনস্টল করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ইন্টারনেটের স্পিড কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হয়।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে ফোনের ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে পারেন এবং নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :