হোয়াটসঅ্যাপ শুধু আর কথাবার্তার অ্যাপ নয়- ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনেও এটি হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রয়োজনীয় যোগাযোগ মাধ্যম। ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি কিংবা ভিডিও- সবকিছুই শেয়ার হয় এই মাধ্যমে। কিন্তু সেই সঙ্গে একটি বড় সমস্যা দাঁড়ায় যখন অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও ফোনের গ্যালারিতে অজান্তেই জমা হতে থাকে। এতে যেমন ডাটা নষ্ট হয়, তেমন ফোনের স্টোরেজও হঠাৎ ভরে যায়।
এই সমস্যা সমাধানে এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা মালিকানাধীন এই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ চালু করতে চলেছে নতুন এক প্রাইভেসি ফিচার, যেখানে ছবি-ভিডিও সেভ হবে কিনা, সেটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে প্রেরকের হাতে।
এই আপডেটের ফলে ব্যক্তিগত ছবি বা সংবেদনশীল ভিডিও গ্যালারিতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি তৈরি করবে না। আপনি যে তথ্য পাঠাচ্ছেন, তা প্রাপক শুধু চ্যাটে দেখতে পারবেন, কিন্তু সেভ করতে পারবেন না—যদি আপনি না চান।
আরও নিরাপদ মিডিয়া শেয়ারিং: প্রেরকের অনুমতি ছাড়া প্রাপক মিডিয়া সেভ করতে পারবেন না।
ফোন স্টোরেজ সাশ্রয়: অপ্রয়োজনীয় মিডিয়া গ্যালারিতে জমে থাকবে না।
ডেটা খরচ কমবে: অটো ডাউনলোড বন্ধ থাকলে ডাটা অপচয় হবে না।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় থাকবে: সংবেদনশীল ফাইলের অপব্যবহার কমবে।
এছাড়া যদি ফোন হারিয়ে যায় বা কারও হাতে চলে যায়, তাহলে গ্যালারিতে থাকা মিডিয়ার চেয়ে চ্যাটবক্সে সীমাবদ্ধ ফাইল অনেক বেশি সুরক্ষিত।
হোয়াটসঅ্যাপ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে শুধু ছবি-ভিডিও নয়, টেক্সট মেসেজ-এর ক্ষেত্রেও প্রেরক ঠিক করতে পারবেন, প্রাপক সেটি কপি বা সংরক্ষণ করতে পারবেন কিনা। এই আপডেট হলে হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী, নিরাপদ এবং প্রাইভেসি-কেন্দ্রিক যোগাযোগের মাধ্যম।
বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি সচেতন তাদের ডিজিটাল গোপনীয়তা নিয়ে। নানা সময়ে দেখা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি বা ভিডিও গ্যালারিতে জমে গিয়ে অনেকে তা অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন। এই ধরনের সমস্যা রোধ করতেই হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপ।
আপনার মতামত লিখুন :