ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, বিভিন্ন বাঁধে ভাঙন

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০২:২৮ পিএম মৌলভীবাজারে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, বিভিন্ন বাঁধে ভাঙন

মৌলভীবাজারে মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এরইমধ্যে জেলার রাজনগর, কমলগঞ্জসহ পাঁচটি উপজেলার ১৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ফলে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। 

 

মৌলভীবাজারে দ্বিতীয় দফা বন্যার মাত্র এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। সেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও প্লাবিত হলো দুই শতাধিক গ্রাম। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ব্রিজ কালভার্ট। পানিতে তলিয়ে গেছে চলতি রোপা আমন ধানও। 

 

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ২০১৮ সালের পর মৌলভীবাজারে এতো পানি দেখেননি। 

 

পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন সড়কে ভাঙন দেখা দেয়ায় ও সড়কের ওপর পানি জমে থাকায় জেলা সদরের সাথে কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার অনেক স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

 

এদিকে মৌলভীবাজারের মনু নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করছে কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর, মিয়ারপাড়া, চকসালন, রাজনগর উপজেলার কদমহাটা, একামধু, আদিনাবাদ, উজিরপুর ও কোনাগাঁও এলাকায়।

 

ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলাপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর, মোকাবিল, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ও রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বন্যার পানি প্রবেশ করছে।

 

 

এছাড়া সদর উপজেলার মাতারকাপন, শেরপুর, হামারকোনা, শাহবন্দরসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করায় প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

 

প্লাবিত হয়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ২১২টি গ্রাম। খোলা হয়েছে ৪৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ।

 

পানিবন্দি ও আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে ২৮৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার বিতরণ ও নগদ অর্থ হিসাবে আরও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক ছয়টি উপজেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ও উজানে রেলওয়ে ব্রিজে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

 

অন্যদিকে ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ও জুড়ি নদীর পানি ১৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Side banner