ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে নাকে খত দেওয়ার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩  

ভোরের মালঞ্চ | ফরহাদ হোসেন ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে নাকে খত দেওয়ার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩  

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন ও নাকে খত দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুমন ভূইয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৪ থেকে ৫ জনকে। 


ভুক্তভোগী রহমত উল্লাহ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির আহমদ উল্লাহর ছেলে। মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার কাজির দিঘীর পাড় বাজারের ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও সুমন ভূইয়া। 


জানা গেছে, ঘটনার সময় রহমত উল্লাহকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে বাজার ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিন ভূইয়ার দোকানের সামনের খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে ভুক্তভোগীকে। এরপর পিচ ঢালা সড়কে নাকে খত দিতে বাধ্য করে অভিযুক্ত সুমন। তখন নাকে খত দিয়ে মুক্তি মিলে রহমত উল্লাহর। 


ব্যবসায়ীদের দাবি, চুরির উদ্দেশ্যে বন্ধ থাকা দোকানে প্রবেশ করে রহমত উল্লাহ। এসময় দোকানের মালিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ কেউ তাকে মারধর ও নাকে খত দিয়েছে। 


মামলার বিষয়ে বাদী রহমত উল্লাহর কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 


এবিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনার ভিডিও দেখার পরই পুলিশ নির্যাতনকারীদের খুঁজছে। তবে পালিয়ে থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এখন মামলা হয়েছে। পুলিশ এজহারভুক্তদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। 


উল্লেখ্য, চুরির অপবাদে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজির দিঘীরপাড় বাজারে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর ও নাকে খত দেওয়া হয়। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, রহমত উল্লাহ নামের ওই যুবককে পেছন দিক থেকে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। এসময় বাজারের ব্যবসায়ী নিজামসহ কয়েকজনের হাতে লাঠি ছিল। একপর্যায়ে সুমন নামে একজন এসে রহমতকে নাকে খত দিয়ে মসজিদ পর্যন্ত যেতে বলে। বলা হয় নাকে খত দিয়ে মসজিদ পর্যন্ত গেলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নাকে খত দেওয়া শেষ হতেই পেছন থেকে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায়। 
 

Side banner